, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


গ্রিন হাইড্রোজেন ব্লেন্ডিং পাইলট প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিল আদানি

  • আপলোড সময় : ৩০-১১-২০২৩ ১০:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-১১-২০২৩ ১০:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন
গ্রিন হাইড্রোজেন ব্লেন্ডিং পাইলট প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিল আদানি
গ্রিন হাইড্রোজেন ব্লেন্ডিং পাইলট প্রজেক্ট নামে নতুন একটি প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়েছে আদানি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় এনার্জি ও সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড (এটিজিএল)। ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ প্রকল্পের আওতায়, এটিজিএল আহমেদাবাদে ৪ হাজার আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে গ্রিন হাইড্রোজেন (জিএইচ২) মেশানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে উত্পাদিত বিদ্যুতের সঙ্গে পানির ইলেক্ট্রোলাইসিস বা তড়িৎ বিশ্লেষণ ব্যবহার করে জিএইচ২ উত্পাদন করা হয়। হাইড্রোজেন মিশ্রণ বার্নিং গ্যাসের তুলনায় কম কার্বন নিঃসরণ করে কিন্তু এ দুটির গরম করার বা হিটিং সক্ষমতা একই।

প্রকল্পটি দেশটির ২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের উপর ভিত্তি করে মিশ্রণে ৮ শতাংশ বা তারও বেশি পরিমাণ গ্রিন হাইড্রোজেন বৃদ্ধি করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, হাইড্রোজেন মিশ্রিত এ জ্বালানি শহরের বড় বড় অংশে এবং এজিটিএল-এর অন্যান্য লাইসেন্স প্রাপ্ত এলাকায় ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে। গবেষণা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত হাইড্রোজেনের মিশ্রণ পরিবেশে এ গ্যাসের নিঃসরণ ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।

এ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে ইচ্ছুক এটিজিএল। যাতে ভারতের শহরগুলোতে গ্যাস বন্টনে কিভাবে হাইড্রোজেন মিশ্রণ করা হয় সে সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সরাসরি শিখন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে পারে এবং এভাবেই প্রতিষ্ঠানটি বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেম উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এছাড়া এটি কার্যকরী দিক এবং বিদ্যমান অবকাঠামোতে মিশ্রিত জ্বালানির উপযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও সিইও সুরেশ পি মংলানি বলেন, “পরিবেশগতভাবে একটি টেকসই কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্পটি ২০৪৭ সালের মধ্যে এনার্জি খাতে স্বনির্ভর হয়ে ভারতের জাতীয় অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি আমাদের চলমান অঙ্গীকারকে প্রতিনিধিত্ব করে৷ এই প্রকল্পটি আমাদের কার্বন ফুটপ্রিন্টকে হ্রাস করবে। এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে, ইন্ডাস্ট্রির ক্রমবিকাশে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার পাশাপাশি আমরা টেকসই এনার্জি সল্যুশন্সের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি বজায় রাখছি।”
 
সর্বশেষ সংবাদ